শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১
The Daily Post

সমাবর্তনের ‘উৎসব-আমেজে’ জাবি 

জাবি প্রতিনিধি

সমাবর্তনের ‘উৎসব-আমেজে’ জাবি 

দীর্ঘ সাতটি বছর অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৬ষ্ঠ সমাবর্তন। এ নিয়ে ক্যাম্পাসে যেন উৎসবের আমেজ বয়ে যাচ্ছে। নিয়ম অনুযায়ী স্নাতক ও স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা সমাবর্তন নিতে পারবেন। এর পাশাপাশি এমফিল, পিএইচডি শিক্ষার্থীদেরকেও সমাবর্তন দিচ্ছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংখ্যক গ্র্যাজুয়েট (প্রায় সাড়ে ১৫ হাজার) এবার সমাবর্তন নিচ্ছেন। গত ২০ তারিখ থেকে গ্র্যাজুয়েটদেরকে সমাবর্তনের উপহার সামগ্রী দেয়া শুরু করেছে প্রশাসন। কাজের সুবিধার্থে প্রতিটা ফ্যাকাল্টি অনুযায়ী এই দায়িত্ব বন্টন করে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়।

উপহার সামগ্রীর মধ্যে ছিল একটি গাউন (যা পরবর্তীতে ফেরত দিয়ে সার্টিফিকেট নিতে হবে), সমাবর্তনের টুপি, একটি মগ ও সমাবর্তনে অংশগ্রহণ করার রেজিস্ট্রেশন কার্ড ( যা না থাকলে প্যান্ডেলে প্রবেশ করা যাবে না)। এসব উপহার সামগ্রী হাতে পাওয়ার পর থেকেই উৎসব-আমেজে মেতেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। 

সরেজমিনে দেখা যায়, ক্যম্পাসের উল্লেখযোগ্য স্থানে  সমাবর্তনের গাউন পরে ছবি তোলায় ব্যাস্ত শিক্ষার্থীরা। থেমে নেই ক্যাম্পাসের রানিং শিক্ষার্থীরা ও (স্নাতক পাশ নয়)। নিজেরা এবার সমাবর্তন নিতে না পারলেও বড় ভাই, আপুদের গাউন নিয়ে ছবি তুলতে ছাড়ছে না কেউ।

এমনি এক শিক্ষার্থীর সাথে কথা হচ্ছিল, প্রাণখুলে মনের আকাঙ্ক্ষা জানালেন তিনি, বললেন, এবার সমাবর্তন নিতে পারি নি কারণ স্নাতক শেষ হয় নি, কিন্তু ক্যাম্পাসের সমাবর্তনের যে উৎসব চলছে তাতে শরিক না হয়ে থাকতে পারি নি। ভাইদের গাউন, টুপি নিয়ে ছবি তুলে রাখছি, ফেইসবুক, ইন্সটাগ্রাম এ আপলোড দিচ্ছি। এভাবেই চলছে আমাদের উৎসব। 

এদিকে সমাবর্তনকে ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্যান্ডেলের ব্যাবস্থা করেছে তাতে খরচ হয়েছে ১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা প্রায়। বিশাল এ কর্মযজ্ঞকে সাফল্য মন্ডিত করতে দীর্ঘ একমাস যাবৎ চলছে অক্লান্ত পরিশ্রম।

প্রত্যেক বিভাগের জন্য নিয়োগ দেয়া হয়েছে আলাদা শিক্ষক,  গঠন করা হয়েছে ১৫টির মতো উপকমিটি। নিরাপত্তা জোড়দার করার জন্য নেয়া হয়েছে বিশেষ ব্যাবস্থা। ক্যাম্পাসে ইতিমধ্যে এসএসএফ (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) চলে এসেছেন। 

উপাচার্য অধ্যাপক ড. নূরুল আলম বলেন, আমাদের প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। আশা করছি আগামীকালের মধ্যেই আমাদের সমস্ত কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে। এই ৬ষ্ঠ সমাবর্তন গ্রহণকারী সকলকে জানাই আমার প্রানঢালা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। 

টিএইচ